স্ট্রোকের ঝুকি থেকে বাঁচার উপায়

সারা পৃথিবীতে স্ট্রোকের ঝুঁকি বৃদ্ধির প্রবণতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে এবং এটি শুধু বয়স্কদের মধ্যেই নয়, বরং অল্প বয়সী ছেলে-মেয়েদের মধ্যেও বৃদ্ধি পাচ্ছে। এর পেছনে কিছু সাধারণ কারণ রয়েছে।

স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে জীবনযাপনে সামান্য পরিবর্তন আনা যায়। স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাসে থাকলে স্ট্রোকের ঝুঁকি অনেকটা কমে যায়। নিচে কিছু গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ দেওয়া হলো:



১. স্ট্রোক প্রতিরোধে করণীয়

রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখা:

উচ্চ রক্তচাপ স্ট্রোকের প্রধান কারণ।
রক্তচাপ ১২০/৮০ এর মধ্যে রাখা ভালো।

• কম লবণযুক্ত খাবার খান।
• নিয়মিত ব্যায়াম করুন।
• মানসিক চাপ কমান।

২. ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করা:

• ডায়াবেটিস স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ায়।
• রক্তের গ্লুকোজ নিয়মিত পরীক্ষা করুন।
• সুষম খাদ্য খান।
• ওষুধ বা ইনসুলিন নিয়মিত নিন।

৩. কোলেস্টেরল কমানো:

উচ্চ কোলেস্টেরল ধমনীতে চর্বি জমিয়ে
 রক্ত প্রবাহ বন্ধ করে দিতে পারে।

• চর্বিযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলুন।
• ফলমূল, শাকসবজি, এবং আঁশযুক্ত খাবার খান।

৪. ধূমপান ও অ্যালকোহল এড়ানো: 

ধূমপান ও অতিরিক্ত মদ্যপান ধমনীর ক্ষতি করে এবং রক্ত জমাট বাঁধার ঝুঁকি বাড়ায়।

৫. ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা:

অতিরিক্ত ওজন রক্তচাপ এবং ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়ায়।

• নিয়মিত শারীরিক পরিশ্রম করুন।
• স্বাস্থ্যকর ডায়েট অনুসরণ করুন।

৬. হার্টের সুস্থতা বজায় রাখা:

• হৃদরোগ থাকলে স্ট্রোকের ঝুঁকি বেশি।
• হার্টের সমস্যা থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
• সঠিক সময়ে ওষুধ সেবন করুন।

 ৭. স্ট্রেস ও মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণ:

• স্ট্রেস দীর্ঘমেয়াদে রক্তচাপ বাড়ায়।
• যোগব্যায়াম বা ধ্যান করুন।
• পরিবার ও বন্ধুদের সাথে সময় কাটান।
• নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা:

৮. বছরে অন্তত একবার রক্তচাপ,

কোলেস্টেরল, এবং ডায়াবেটিস পরীক্ষা করুন। কোনো উপসর্গ দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

৯. খাবারের অভ্যাসে পরিবর্তন:

বেশি ফল, শাকসবজি এবং আঁশযুক্ত খাবার খান। ফাস্ট ফুড এবং প্রক্রিয়াজাত খাবার এড়িয়ে চলুন। লাল মাংসের পরিবর্তে মাছ এবং মুরগি খান। স্ট্রোক প্রতিরোধের জন্য এই অভ্যাসগুলো মেনে চলা অত্যন্ত কার্যকরী।