পেটে পাথর: কিডনি ও পিত্তথলির পাথরের কারণ, লক্ষণ ও প্রতিকার

 

পেটে পাথর: কিডনি ও পিত্তথলির পাথরের কারণ, লক্ষণ ও প্রতিকার | Bangla Health Tips

মানুষের দেহের অভ্যন্তরে বিভিন্ন কারণে পাথর তৈরি হতে পারে, যার মধ্যে সবচেয়ে সাধারণ হলো কিডনি স্টোন (বৃক্কে পাথর) ও পিত্তথলির পাথর (Gallstone)। এই দুটি সমস্যাই অত্যন্ত যন্ত্রণাদায়ক ও চিকিৎসা ছাড়া দীর্ঘমেয়াদে বিপজ্জনক হতে পারে। চলুন জেনে নিই এর কারণ, লক্ষণ ও প্রতিকার সম্পর্কে।

কিডনি স্টোন (বৃক্কে পাথর) কী এবং কেন হয়?

কিডনি স্টোনের কারণ:

  • পর্যাপ্ত পানি না পান করা
  • লবণ ও প্রোটিনসমৃদ্ধ খাদ্যাভ্যাস
  • অক্সালেটযুক্ত খাবার অতিরিক্ত খাওয়া
  • পারিবারিক ইতিহাস
  • ইউরিনারি ইনফেকশন

লক্ষণ:

  • পিঠ বা কোমরে তীব্র ব্যথা
  • প্রস্রাবে জ্বালা বা রক্ত
  • ঘন ঘন প্রস্রাব
  • বমিভাব বা বমি

চিকিৎসা ও প্রতিকার:

  • বেশি পানি পান
  • সুষম খাদ্য গ্রহণ
  • ওষুধ বা চিকিৎসকের পরামর্শ
  • প্রয়োজনে সার্জারি

গল ব্লাডারের পাথর (পিত্তথলির পাথর)

পিত্তথলির পাথরের কারণ:

  • চর্বিযুক্ত খাবার
  • অতিরিক্ত কোলেস্টেরল
  • স্থূলতা বা দ্রুত ওজন কমানো
  • হরমোনজনিত পরিবর্তন

লক্ষণ:

  • ডান পাশে পেটে ব্যথা
  • বমিভাব বা গ্যাস
  • জন্ডিস (প্রয়োজনে)
  • চর্বিযুক্ত খাবার সহ্য না হওয়া

চিকিৎসা ও প্রতিকার:

  • কম চর্বিযুক্ত খাবার গ্রহণ
  • নিয়মিত খাদ্য গ্রহণ
  • চিকিৎসকের পরামর্শ ও প্রয়োজন হলে অপারেশন

পাথর প্রতিরোধে করণীয়

  • দৈনিক ৮-১০ গ্লাস পানি পান করুন
  • সুষম খাদ্যাভ্যাস বজায় রাখুন
  • দেহের ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখুন
  • অপ্রয়োজনীয় সাপ্লিমেন্ট এড়িয়ে চলুন
  • নিয়মিত মেডিকেল চেকআপ করুন

উপসংহার

পেটে পাথর এক সাধারণ সমস্যা হলেও সময়মতো প্রতিরোধ ও চিকিৎসা না করলে তা মারাত্মক আকার ধারণ করতে পারে। তাই সচেতন জীবনযাপন এবং সঠিক খাদ্যাভ্যাসই এর প্রধান প্রতিকার।