পেটে পাথর: কিডনি ও পিত্তথলির পাথরের কারণ, লক্ষণ ও প্রতিকার
মানুষের দেহের অভ্যন্তরে বিভিন্ন কারণে পাথর তৈরি হতে পারে, যার মধ্যে সবচেয়ে সাধারণ হলো কিডনি স্টোন (বৃক্কে পাথর) ও পিত্তথলির পাথর (Gallstone)। এই দুটি সমস্যাই অত্যন্ত যন্ত্রণাদায়ক ও চিকিৎসা ছাড়া দীর্ঘমেয়াদে বিপজ্জনক হতে পারে। চলুন জেনে নিই এর কারণ, লক্ষণ ও প্রতিকার সম্পর্কে।
কিডনি স্টোন (বৃক্কে পাথর) কী এবং কেন হয়?
কিডনি স্টোনের কারণ:
- পর্যাপ্ত পানি না পান করা
- লবণ ও প্রোটিনসমৃদ্ধ খাদ্যাভ্যাস
- অক্সালেটযুক্ত খাবার অতিরিক্ত খাওয়া
- পারিবারিক ইতিহাস
- ইউরিনারি ইনফেকশন
লক্ষণ:
- পিঠ বা কোমরে তীব্র ব্যথা
- প্রস্রাবে জ্বালা বা রক্ত
- ঘন ঘন প্রস্রাব
- বমিভাব বা বমি
চিকিৎসা ও প্রতিকার:
- বেশি পানি পান
- সুষম খাদ্য গ্রহণ
- ওষুধ বা চিকিৎসকের পরামর্শ
- প্রয়োজনে সার্জারি
গল ব্লাডারের পাথর (পিত্তথলির পাথর)
পিত্তথলির পাথরের কারণ:
- চর্বিযুক্ত খাবার
- অতিরিক্ত কোলেস্টেরল
- স্থূলতা বা দ্রুত ওজন কমানো
- হরমোনজনিত পরিবর্তন
লক্ষণ:
- ডান পাশে পেটে ব্যথা
- বমিভাব বা গ্যাস
- জন্ডিস (প্রয়োজনে)
- চর্বিযুক্ত খাবার সহ্য না হওয়া
চিকিৎসা ও প্রতিকার:
- কম চর্বিযুক্ত খাবার গ্রহণ
- নিয়মিত খাদ্য গ্রহণ
- চিকিৎসকের পরামর্শ ও প্রয়োজন হলে অপারেশন
পাথর প্রতিরোধে করণীয়
- দৈনিক ৮-১০ গ্লাস পানি পান করুন
- সুষম খাদ্যাভ্যাস বজায় রাখুন
- দেহের ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখুন
- অপ্রয়োজনীয় সাপ্লিমেন্ট এড়িয়ে চলুন
- নিয়মিত মেডিকেল চেকআপ করুন
উপসংহার
পেটে পাথর এক সাধারণ সমস্যা হলেও সময়মতো প্রতিরোধ ও চিকিৎসা না করলে তা মারাত্মক আকার ধারণ করতে পারে। তাই সচেতন জীবনযাপন এবং সঠিক খাদ্যাভ্যাসই এর প্রধান প্রতিকার।
Tags:
Health tips