গ্রীষ্মকালীন অতিরিক্ত গরমে যেভাবে সুস্থ থাকবেন


গ্রীষ্মকালে সুস্থ থাকার জন্য খাদ্যাভ্যাস ও স্বাস্থ্য টিপস:

গ্রীষ্মকাল আমাদের উপমহাদেশে একটি প্রচণ্ড উত্তাপময় ঋতু। এই সময় শরীর ঘেমে যায়, পানির ঘাটতি হয় এবং হিটস্ট্রোক বা পানিশূন্যতার মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই গ্রীষ্মে সুস্থ থাকার জন্য চাই কিছু সচেতনতা ও সঠিক খাদ্যাভ্যাস।

১. পর্যাপ্ত পানি পান করুন

গ্রীষ্মে শরীর থেকে প্রচুর ঘাম ঝরে, ফলে দেহে পানিশূন্যতা দেখা দেয়। প্রতিদিন অন্তত ৮-১০ গ্লাস বিশুদ্ধ পানি পান করা উচিত। পানি ছাড়াও ডাবের পানি, ঘোল, লেবু শরবত বা বেলের শরবত খাওয়া যেতে পারে।

২. ফলমূল ও সবজি খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন

জলীয় অংশ বেশি এমন ফল ও সবজি গ্রীষ্মকালে শরীর ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে। যেমন:

• তরমুজ, বাঙ্গি, জামরুল, কাঁঠাল, লিচু, আনারস
• শসা, লাউ, পুঁইশাক, করলা ইত্যাদি সবজি

৩. হালকা ও সহজপাচ্য খাবার গ্রহণ করুন

গ্রীষ্মে তেল-ঝাল ও ভারী খাবার পরিহার করা উচিত। ভাজাভুজি বা মসলাযুক্ত খাবারের পরিবর্তে হালকা ভাত, সবজি, ডাল, ভাপা মাছ বা সিদ্ধ ডিম খাওয়া স্বাস্থ্যকর।

৪. ঠান্ডা পানীয় গ্রহণ করুন, তবে সাবধানে

বাজারে বিক্রি হওয়া কোমল পানীয় বা অতিরিক্ত মিষ্টি শরবত না খেয়ে ঘরে তৈরি শরবত খাওয়াই ভালো। যেমন:

• কাঁচা আমের পান্না
• ঘোল বা দই দিয়ে শরবত
• তোকমা বীজ মেশানো শরবত

৫. দুপুরের রোদ এড়িয়ে চলুন

প্রচণ্ড রোদে বাইরে না যাওয়াই উত্তম। বিশেষ করে দুপুর ১২টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত সূর্যের তাপ সবচেয়ে বেশি হয়। বাইরে গেলে ছাতা বা ক্যাপ ব্যবহার করুন এবং হালকা রঙের সুতির পোশাক পরুন।

৬. ত্বক ও স্বাস্থ্য সুরক্ষায় অতিরিক্ত যত্ন

গরমে ঘাম জমে ত্বকে চুলকানি বা র‍্যাশ হতে পারে। তাই নিয়মিত গোসল করুন, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকুন এবং হালকা ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন।


পরামর্শ :

গ্রীষ্মকালের অতিরিক্ত গরম অনেক সময় দেহের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। তবে খাদ্যাভ্যাসে সামান্য পরিবর্তন এনে এবং পর্যাপ্ত পানি পান করে সহজেই এই সময়টাকে সুস্থভাবে উপভোগ করা যায়।